উখিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা প্রশাসন একটি শিশু বিবাহ ভন্ডুল করে দিয়েছে। সোমবার উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা গ্রামের ফরিদ আহমদের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিশু ছাত্রীর বিবাহ অনুষ্ঠানে প্রশাসনের এ হস্তক্ষেপ ঘটে। উক্ত বিবাহের নিকাহ রেজিষ্ট্রারের প্রতিনিধিকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়েছে।
বর যাত্রী ও পাড়ার প্রতিবেশীরা ধুমধামের সাথে খাওয়া-দাওয়া অন্যান্য কার্যক্রমে ব্যস্ত ঠিক সে সময় উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও অপর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচ মাহফুজুর রহমান বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। বিবাহ অনুষ্ঠানে আগত উপস্থিত লোকজনের মাঝে ম্যাজিষ্ট্রেট দেখে হুড়ো হুড়ি শুরু হয়ে যায়। মুহুর্তের মাঝে ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত স্থানীয় লোকজন, ইউপি চেয়ারম্যান ও কনের পিতা-মাতাকে বিবাহ বন্ধ না করলে আইনের আওতায় আনার কথা বলায় অবশেষে বাল্য বিবাহ ভেঙ্গে যায়। গতকাল সোমবার দুপুর আড়াই টার দিকে উখিয়া হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী শিশু ইয়াছমিন আক্তারের সাথে রামুর তুলাবাগান গ্রামের মোক্তার মিয়ার সাথে বিবাহের পূর্ব নির্ধারিত দিন ছিল। স্থানীয় হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টুকে উক্ত শিশুকে জিম্মা দেওয়া হয়েছে। শিশুটির পিতা ফলিদ আলমের কাছ থেকে মেয়ের পরিনত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দেওয়া হবে না মর্মে অঙ্গীকার নামাও নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন উখিয়ার নিকাহ রেজিষ্ট্রার কাজী আবু মোকাদ্দেস হারুনের সহকারী হিসেবে হলদিয়াপালং গ্রামের মৌলভী নূরুল ইসলাম উপ-নিকাহ রেজিষ্ট্রার হিসেবে ৭নং বালামে ৪৩ নং পৃষ্ঠায় এ বিবাহ সম্পর্কে খসড়া লিপিবদ্ধ করে। উক্ত নিকাহ বালাম জব্দপূর্বক উপ-নিকাহ রেজিষ্ট্রারকে আটক করে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ে মুচলেখা নেওয়া হয়েছে এবং উখিয়া নিয়োজিত মূল নিকাহ রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পত্র লেখা হবে।
প্রকাশিত: ০৮/১২/২০১৪ ৬:১৮ অপরাহ্ণ
আব্দুস সালাম, টেকনাফ:: সাগরপথে টেকনাফের বাহারছড়ায় মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে ...
পাঠকের মতামত